Posts

Showing posts from February, 2008

আমার দেখা বাংলা সিনেমা (মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক)

Image
হলে গিয়ে সিনেমা দেখা বন্ধ হবার পরে টিভিই রইলো একমাত্র সম্বল। একটু বুদ্ধি হবার পর থেকেই যে সিনেমাটি টিভিতে সবচেয়ে বেশি দেখেছি তা"জীবন থেকে নেয়া"। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারী-- যেকোন দেশাত্ববোধক উপলক্ষে এই একটি সিনেমাই দেখানো হতো। সম্ভবত রাজনৈতিক জটিলতায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অন্যান্য যেকোন সিনেমা দেখানোটা ওই সময়ের সরকারের পক্ষে সম্ভব ছিলো না (হায়!)। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই সিনেমাটি যতবারই দেখেছি, নতুন করে ভালো লেগেছে। ছোটবেলায় এই সিনেমার রূপক অর্থটি বুঝিনি, তবুও ভীষন উপভোগ্য মনে হতো। খান আতার সেই চিরদিনের অসম্পূর্ণ গান, " এ খাঁচা ভাঙব আমি কেমন করে?" কখনোই ভোলার নয়। এবং সেই বিখ্যাত ডায়ালগ, "ঘরে ঘরে দূর্গ গড়তে হবে"...অসাধারণ। একটু বড় হয়ে, একটু বুঝার পর থেকেই কেবল ভাবি, কি পরিমাণ মেধা থাকলে একজন পরিচালক এরকম একটি সিনেমা তৈরি করতে পারেন। কি অসাধারণ প্লট, কি পারফেক্ট রূপক- একটি পরিবারের মধ্য দিয়ে পুরো একটি দেশের সম্পূর্ণ পরিস্থিতিটি তুলে ধরা, সর্বোপরি প্রতিটি পাত্র-পাত্রীর চমৎকার অভিনয়। দেখতে দেখতে মুখস্ত হয়ে যাওয়া এই সিনেমাটি তাই তুমুল উৎসাহ নিয়ে

আমার দেখা বাংলা সিনেমা

Image
ছোটবেলায় ব্যাপারটা ছিলো ঠিক উল্টো। মানে এখন যেমন নাক প্রায় সিঁটকিয়েই বাংলা সিনেমার বড়জোর খবর নেই, ছোটবেলায় বরং প্রবল আকর্ষন ছিলো সিনেমা ব্যাপারটার প্রতি। আর সিনেমা মানেই বাংলা সিনেমা। বিটিভিতে ইংরেজী সিনেমা দেখাতো বটে কিন্তু সেটাকে সিনেমা না ভেবে "মুভি অব দ্য উইক" ভাবাটাই বেশি যৌক্তিক মনে হত সেই সময়! অনেক দিন পর্যন্ত আমাদের বাসায় সাদাকালো টিভি ছিলো। তখন টিভিতে দেখানোও হতো বেশিরভাগ সাদাকালো ছবিই। নায়ক-নায়িকা হয় রাজ্জাক-কবরী-ববিতা নয়ত শাবানা-আলমগীর, কখনও শবনম-রহমান। এর বেশি নিজের মনে নেই, তবে আমার মায়ের খুব পছন্দের ছিলো নায়িকা ছিলো সুজাতা। এক্কেবারে পিচ্চীবেলার সিনেমাগুলো বিটিভিতে দেখাতো বৃহস্পতিবার রাত আটটার সংবাদের পরে। আমরা সবাই সার বেঁধে ড্রইং রুমে বসে যেতাম। দেড় ঘন্টা দেখার পরেই ইংরেজী সংবাদ, মানে আধ ঘন্টার বিরতি। সেই সময়েই ঘটতো করুণ ঘটনা। আমার বাবা আমাকে নানান ভাবে ঘুম পাড়িয়ে দেবার চেষ্টা করত। একেক দিন একেক অজুহাত, "মা, আজকে তো আর দেখাবে না, পরের অংশের ফিতা নষ্ট হয়ে গেছে", অথবা "আরে এইটা শুক্রবারে সকালে আবার দেখাবে তখন দেখো" ইত্যাদি নানা অজুহাত। সেই সব

বইমেলা...তোমার কাছে যাবো

Image
আমার একটা স্বভাব আছে, কখনও কখনও একটানা একই গান শুনতে থাকি...ঘন্টার পর ঘন্টা। আজ এরকম চলছে, "আমি বৃষ্টি দেখেছি", অঞ্জন দত্তর। শুনতে শুনতে মনটা গানের ভাবের মত হয়ে যায় নাকি আগে থেকেই মনটা তেমন হয়ে আছে বলেই আসলে গানটা শোনা হয়...ঠিক জানা নেই। তবে গান আর মন মিলে অদ্ভুত একটা পরিবেশ তৈরি হয়, তৈরি হয়ে চলতে থাকে। আজ দেশের কথা খুব বেশি মনে পড়ছে। বাবার কথা...। মা'র কথা মনে পড়ে, মা কবি ছিলো না কিন্তু খুব সহজ করে জীবনের দর্শন বলে ফেলতো মাঝে মাঝে। একটা কথা বলতো, "মানুষ কেমন পাখি দেখো, কাল আমি কোথায় ছিলাম আর আজকে কোথায়?" বলে ফিক করে হেসে ফেলতো। এই কথাটা মা তেমন গুরুতর অর্থে যে বলতো না নয়। হয়তো একদিন বেড়াতে গেলাম টাংগাইলে, পরের দিন ঢাকার বাসায় ফিরেছি, তখন। মা'র দৌড় তো ছিলো সেই ঢাকা-টাংগাইল। বইমেলা শুরু হয়ে গেলো। মা'র সেই কথাটা মনে হচ্ছে বারবার...মানুষ কেমন পাখি, মানুষ কেমন পাখি। আট বছর পর এই প্রথম আমি বইমেলায় যাচ্ছি না। পাখি হয়ে উড়ে উড়ে আমি চলে এসেছি এতটা দূরে যেখানে পৌঁছুতে গিয়ে ডানা গেছে কেটে! এখন আর উড়াল দেবার উপায় নেই। কার্জন বা রোকেয়া হল থেকে হেঁটে অথবা পল্লবী থেকে